কারাগারে থাকা আওয়াামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের প্রতারণার মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম শুনানি শেষে জামিন নাকচের এ আদেশ দেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। এর আগে মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর আরেক আদালত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
এ আসামির (হেলেনা জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরও দুটি মামলা আছে। যে মামলাগুলোয় এখানো জামিন পাননি তিনি।
এর আগে গত ৩ আগস্ট পল্লবী থানার প্রতারণার মামলা, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চারদিন করে আটদিনের এবং গুলশান থানার মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন করে ছয় দিনেরসহ ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরও আগে গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নং রোডের ৫নং বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইলফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জামাদি- ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে দিবাগত মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের পোস্টার ভাইরাল হলে আলোচনায় উঠে আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপরই আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর।
সূত্র: আমাদের সময়.কম