তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের দখল চলে যাওয়ায় বেশ আতংকেই আছেন আফগান নারীরা। শেষবার ক্ষমতায় থাকার সময় নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করেছিল তালেবান সরকার। তবে এবার বোরকা পরাকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে তালেবান নেতারা। বোরকা না পরলেও তাদের হিজাব পরতে হবে- এমনটাই জানানো হয়েছে তালেবানের পক্ষ থেকে। এছাড়া, নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগও পাবে, বলেছে তালেবান।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী কাবুলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ২০ বছর আগে যে ধারণার ভিত্তিতে এবার সরকার পরিচালনা করবে না তালেবান। সম্পূর্ণ পরিবর্তিত চিন্তা নিয়ে তালেবান এবার আফগান সরকার পরিচালনা করার চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছে তারা।
তালেবান মুখপাত্র বলেন, বোরকা একমাত্র হিজাব নয় এবং হিজাবকেও কেবল বোরকায় সীমাবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। তবে কোন ধরনের হিজাব তালেবানের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা স্পষ্ট করেননি তালেবান মুখপাত্র।
এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আফগান নারীদের। বাইরে যাওয়া এবং কাজ করা ছিল তাদের জন্য নিষিদ্ধ। জনসম্মুখে বোরকা পরা ছিল বাধ্যতামূলক। তাই তালেবান শাসন শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা কাজ করছে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। আবারও নারীদের শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সূত্র: আমাদের সময়.কম