নড়াইলের লোহাগড়ায় রশি দিয়ে বেঁধে সবুজ শেখ (৩০) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সবুজ বারইপাড়া গ্রামের আবু শেখের ছেলে। নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সবুজ শেখের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে সবুজ ওই নারীর বাড়িতে যায়। এ সময় প্রবাসীর ভাই ও আর স্বজনরা সবুজকে ঘরের মধ্যে আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে রশি দিয়ে বেঁধে রড, লাঠি, হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করে তাকে। পরে তাকে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে মেঝেতে ফেলে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে নলদী ফাঁড়ির পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হওয়া সেখান থেকে সবুজকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সবুজ জানান, ওই প্রবাসী আমার ফুফাতো ভাই। তার স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকে। অসুস্থ থাকায় আমি সোমবার রাতে তাকে ওষুধ দিতে যাই। এ সময় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিকুল, মশিউর, বদিয়ার, সাহেব আলী, আইয়ুব, বাবু, সাব্বির, উকিল আমাকে বেঁধে সবাই মিলে রড-হাতুড়ি দিয়ে মেরে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
নলদী পুলিশ ফঁড়ির এসআই এনামুল হক জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মঙ্গলবার এক সালিস-বৈঠক মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলেছেন। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: কালের কন্ঠ