মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির রিমান্ড ও জামিন শুনানি শুরু হবে কিছুক্ষণ পরই। ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ শুনানি হবে। আপাতত তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে তাকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আজ পরীমনির পক্ষে লড়বেন অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আরও অনেকে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট বনানী থানায় মাদক দ্রব্য আইনের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনির তৃতীয় দফায় আবারও ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ দিকে আসামি তিনি মামলার ঘটনা ও ঘটনার নেপথ্যে মূল হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার দেওয়া তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরীমনিকে ইতিপূর্বে আদালতের আদেশে পুলিশ রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছে তা সঠিকতাসহ মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের গ্রেফতার, মাদকদ্রব্যের মজুদ উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসার পেছনে অর্থের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে রিমান্ড শেষে গত সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান জামিন আবেদন করলে আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগস্ট বাদীসহ র্যাব ১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন। তারা বাসায় অবস্থান করছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। পরীমনির বাসা থেকে নারী র্যাব সদস্যের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
এর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা।
রাজের বাসা থেকেও মাদক ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।