ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে মেক্সিকো উপকূলে আঘাত হানা হারিকেন গ্রেসের তাণ্ডবে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। তবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এদিকে প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিনের প্রথমভাগে মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে ক্যাটাগরি ৩ শক্তি নিয়ে আঘাত হানে সামুদ্রিক ঝড়টি। এতে শেষ খবর পর্যন্ত মারা যাওয়া আট জনের সাত জনই ভেরাক্রুজ রাজ্যের জালাপার বাসিন্দা, অন্যজন পোজারিকার।
মেক্সিকোর জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, আঘাতের সময় গ্রেসের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় অন্তত ১২০ কিলোমিটার। যা পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালায়। পরে শক্তি হারিয়ে এটি মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয়।
এদিকে প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ভূমিধসের শঙ্কার কথা জনিয়েছে হারিকেন সেন্টার। ভেরাক্রুজ, পুয়েবলা, টাক্সালা, হিডালগো, নরদার্ন কুয়েরেত্রো এবং পূর্বাঞ্চলীয় স্যান পোতোসি এলাকাগুলো সপ্তাহজুড়ে বন্যা ও ভূমিধসের হুমকিতে থাকতে পারে। এসব এলাকায় আগামী দিনগুলোতে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
ভেরাক্রুজের গভর্নর কুইতলাহুক গার্সিয়া জিমেনজি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,এসব এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। আমরা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছি।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতিতে আঘাত হানে গ্রেস। ভূমিকম্পে দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।
সূত্র: আমাদের সময়.কম