বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টিতে কখনও হারের রেকর্ড ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। সর্বশেষ সিরিজে বাংলাদেশের সঙ্গে পেরে ওঠেনি অজিরা। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে দেশে ফিরেছে। এরমধ্যে অলআউট হয়েছে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬২ রানে। মঙ্গলবার ঢাকায় পা রাখবে নিউজিল্যান্ড। সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে কিউইরা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকা কোনো ক্রিকেটার আসবেন না বাংলাদেশে। ‘দ্বিতীয়’ সারির নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য রাচিন রবীন্দ্র।
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে চিন্তিত।
পাঁচ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবচেয়ে কম রান উঠেছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। এখন পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে সবচেয়ে কম রানের (১১২০ রান) রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। সিরিজজুড়ে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৬-এর নীচে। এ যুগে টি-টোয়েন্টিতে যা অবিশ্বাস্য। দশটি ইনিংসের একটিতেও হয়নি ১৫০ রান বা এর কাছাকাছি। বাংলাদেশের করা ১৩১ রানই সর্বোচ্চ। সেই রান আবার তাড়া করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের কন্ডিশনকে টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয় বলে মন্তব্য করেছেন কিউই ব্যাটসম্যান রাচিন রবীন্দ্র। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যাটম্যান বলেন, ‘ ‘বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দেখে মনে হয়েছে এটি স্বাভাবিক টি-টোয়েন্টির কন্ডিশনের চেয়ে বিপরীত। এখানে সম্ভবত ১৩০-১৪০ রান হয়। এটি ভিন্ন একটি পরিকল্পনা হবে। কিন্তু সেখানে মানিয়ে নেয়া এবং শেখাটা রোমাঞ্চকর হবে।’
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন রবীন্দ্র। যেখানে বাংলাদেশের গরমে হাঁপিয়ে ওঠেছিলেন তারা। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্র জানিয়েছেন, সেটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। নিউজিল্যান্ডের পেস বান্ধব উইকেটে খেলে বড় হওয়ায় এখানের টার্নিং ও স্লো উইকেট তাদের জন্য একেবারে অচেনা ছিল। তবে পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ সফরে কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি। রবীন্দ্র বলেন, ‘এটি অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলাম এবং কন্ডিশন আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে একেবারে ভিন্ন ছিল। সেখান টার্নিং এবং মন্থর উইকেট ছিল। সত্যি বলতে আমরা কখনই এমন উইকেটের মুখোমুখি হইনি। এটি আসলে এক চোখ খোলা রাখার মতো ব্যাপার। সেই অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করবে। এমনকি আবহাওয়ার মতো ছোট জিনিস এবং আমরা কি খাবার পেতে যাচ্ছি।
সূত্র: মানবজমিন