বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলা, সংঘর্ষ, মারধর ও পাল্টা-পাল্টি মামলাকে কেন্দ্র করে অবশেষে সমঝোতা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এক বৈঠকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি এসএম আকতারুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন খান ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনসহ কর্মকর্তারা বসে মিমাংসা করেন।
রাতে দৈনিক আমাদের সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। তিনি জানান, উভয় পক্ষের আন্তরিক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধ নিস্পত্তি হয়েছে।
এ সময় সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আ.লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে নিজ কক্ষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বরিশালের ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। এটা এখন নিরসনের পথে। উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে নিরসনের চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, পোস্টার-ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আ.লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়।
এই ঘটনায় সিটি মেয়রকে প্রধান আসামি করে ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন ইউএনও এবং পুলিশ। মামলার ২১ আসামি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলামকে বিবাদী করে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলাম খোকন এবং রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম