ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে আমাদের দল ১০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের মুসলিমদের ক্ষমতায়ন করা।’
তিনি শুক্রবার ভারতের বেসরকারি হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল এবিপি লাইভ-এ ‘শিখর সম্মেলন-উত্তর প্রদেশ’ শীর্ষক বিশেষ টকশোতে ওই মন্তব্য করেন।
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য এখন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ওয়াইসি বলেন, ‘আমি ইউপিতে (উত্তরপ্রদেশ) বিজেপিকে পরাজিত করতে চাই। রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে তা সহ্য করা যায় না। ইউপিতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে।’
ওয়াইসি রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে টার্গেট করে বলেন, ‘সিএএ’র (‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন’ বিরোধী আন্দোলন) সময় ২২ জন মুসলিম মারা গিয়েছিল। কিন্তু এটা অখিলেশও বলবে না কত মানুষ মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে থামানো মুসলিমদের কাজ। ‘যাদব’রা অখিলেশকে ভোট দেয় এবং হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দেয়। মুসলিমদের কথা বলতে অখিলেশ ভয় পান।’
ওয়াইসি বলেন, ‘ইউপিতে সব দলই মুসলিমদের বিষয়ে কথা বলতে ভয় পায়। মায়াবতী এবং অখিলেশ একসাথে নির্বাচন লড়েছেন, কিন্তু তাদের নিজস্ব ভোটাররা পালিয়ে গেছে। তাদের ভোট ব্যাঙ্ক কখনো মুসলিম ছিল না।’
যেদিন দুর্বলরা ন্যায়বিচার পাবে, সেদিন দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেও ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ওয়াইসি বলেন, ‘আফগানিস্তানে ভারতের বিনিয়োগ আটকে আছে। তালেবানের প্রতি আমাদের সরকারের মনোভাব খুবই গুরুতর বিষয়। লস্কর-ই-তাইয়্যেবা এবং জইশ-ই-মুহাম্মদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন আফগানিস্তানে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তালেবান সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারণ করেন না। সরকারের উচিত তার কথা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা।’
‘মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যর্থ হচ্ছে কেন? এখন ইউপিতে নির্বাচন আছে এবং এই লোকেরা সেখানে তালেবান-তালেবান করবে। আমরা কোথায়? সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ভালো নয়’ বলেও মন্তব্য করেন ‘মিম’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি।
সূত্র : পার্সটুডে