ভারতীয় কোম্পানি আফকোনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে নিজেদের দ্বিতীয় ওভারওয়াটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ দিয়েছে মালদ্বীপ। সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকার ও ঠিকাদার কোম্পানিটির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
ভারত সরকারের অর্থায়নে থিলামায়েল ব্রিজ নামের সেতুটি নির্মিত হবে, যা মালদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে ভিলিমেই, থিলাফুসি ও গুলহিফালহু অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে।
জানা গেছে, মালদ্বীপের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জিনিয়া আহমেদ দেশের সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে, আফকোনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারসের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন কোম্পানিটির পরিচালক আর. অন্দর কুমার। মালদ্বীপের আদ্দু সিটির সড়ক নির্মাণের জন্যও এ কোম্পানিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মালদ্বীপকে ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা এবং আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারত। মালদ্বীপে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির অংশ হিসেবে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, লাইন অব ক্রেডিট হচ্ছে খুবই সহজ শর্তের ঋণ, যা খুব দ্রুত অথবা প্রয়োজন হলে বর্ধিত সময়ের সুবিধা নিয়ে পরিশোধ করা যায়।
মালদ্বীপের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহত্তর মালে কানেক্টেভিটি প্রকল্পটিতে মালের দক্ষিণপশ্চিম কোণ থেকে একটি ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটারের ক্রসিং লিংক থাকবে। এটি ভিলিংগিলির দক্ষিণ তীর সংলগ্ন হয়ে গুলিফালহুর পুনরুদ্ধারকৃত অঞ্চল বরাবর এবং থিলাফুশির ভূমিতে এসে সমাপ্ত হবে।
মূল সেতুটির উপাদান ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার লম্বা হবে। মালে-ভিল্লিমালে জাংশনে ট্রাফিক লাইটগুলো থাকবে। এ ছাড়া থিমাফুশি-গুলহিফালু জাংশনে একটি গোল চত্বর নির্মাণ করা হবে। সেতুর আলোকসজ্জ্বা হবে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। দুই বছরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় টাটা কোম্পানির সিস্টার কোম্পানি হচ্ছে এই আফকোনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ৬০ বছরের পুরোনো এই কোম্পানিটি ভারতের সবচেয়ে দক্ষ হাইড্রো ও আন্ডারগ্রাউন্ড কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। ঘানায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট জলাধারগুলোর একটিতে দীর্ঘতম রেলওয়ে নির্মাণ করেছে আফকোনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার।
সূত্র : আভাস