আমেরিকানদের ফিরিয়ে আনতে তালেবানের সাথে গোপন সমঝোতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর জের ধরে তালেবান সদস্যরা আমেরিকানদের গোপনপথে কাবুল বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনসহ কয়েকটি পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, আমেরিকানদের সরিয়ে নিত যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরে একটি ‘গোপন ফটক’ ও ‘কল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
অপর এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, তালেবানের সাথে এই সমঝোতা ‘চমৎকারভাবে কাজ’ করে।
আমেরিকান দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকানদের বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে ‘জড়ো হওয়ার কেন্দ্রগুলোতে’ নিয়ে আসা হয়। এই কাজেই তালেবান সহযোগিতা করে। বিমানবন্দরের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠিত ওই কেন্দ্রগুলোতেই মার্কিন কর্মকর্তারা জড়ো হওয়া আমেরিকানদের পরিচয় যাচাই করে এবং পালানোর জন্য বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক আফগানকে এড়িয়ে গোপন পথে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়ে যায়।
পালাতে আগ্রহী আমেরিকানরা ও আমেরিকান পাসপোর্টধারী অনেকে যখন শুনেছিল যে তাদেরকে তালেবান পাহারা দিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাবে, তখন তা তারা বিশ্বাসই করতে পারেনি। কিন্তু তালেবানের সহযোগিতায় তারা নিরাপদে বিমানবন্দরে চলে আসে।
এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো কোনো দিন তালেবান কয়েকবার করেও আমেরিকানদের বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। আমেরিকানদের জড়ো করার একটি কেন্দ্র ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন। এটি ছিল বিমানবন্দরের সামান্য দূরে।
জুলাই থেকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত এক লাখ ২২ হাজার লোককে বিমানে করে সরিয়ে নেয়া হয়। আর সরিয়ে নেয়া আমেরিকানের সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি।
মার্কিনিরা ১২০টি কুকুর ফেলে গেছে কাবুল বিমানবন্দরে!
মার্কিনিরা আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর ফেলে এসেছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
পশু অধিকার গ্রুপ পেটা অভিযোগ করেছে, বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে যে ৬০টি বোমা অনুসন্ধানী কুকুর ও ৬০টি অন্যান্য কাজে নিয়োজিত কুকুর ফেলে আসা হয়েছে। এসব কুকুর পর্যাপ্ত খাবার বা পানি পাচ্ছে না, তারা গরমেও রয়েছে।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের সময় তাদের কয়েকটি কুকুর কাবুল বিমানবন্দরে ফেলে আসার খবরটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ভুল প্রতিবেদন সংশোধন করার জন্য বলছি, মার্কিন সামরিক বাহিনী হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাঁচার মধ্যে কোনো কুকুর রেখে আসেনি।
অনলাইনে প্রচারিত কুকুরের ছবির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এসব কুকুর সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত নয়।
সূত্র : আল জাজিরা