তালেবানের সরকার গঠনের চেষ্টার মধ্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে পাকিস্তানের। দেশটির ভেতরে একটি তালেবান গোষ্ঠীর হামলার কারণে এ উদ্বেগে পড়েছে ইসলামাবাদ।
গত দুই দশকে পাকিস্তানি ওই তালেবান গোষ্ঠীর হামলায় দেশটির কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে হামলা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাস খুবই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হবে। তালেবানকে নিজেদের এলাকা নিয়ন্ত্রণে সেনাদের আবারও সংগঠিত করতে আমাদের (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) সহায়তা করা উচিত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বরাবরই আফগানিস্তানের তালেবানকে সহযোগিতা করার অভিযোগ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
১৯৯৬ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে অল্প কয়েকটি দেশ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল তার মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। ২০০১ মার্কিন নেতৃত্বে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে পতন হয় তালেবানের।
পাকিস্তান সরকার অবশ্য বলছে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তালেবানের ওপর তাদের প্রভাব কমে এসেছে।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরাসরি জড়িত একজন কর্মকর্তা জানান, তালেবান যাতে আফগান বাহিনীকে ফের সংগঠিত করতে পারে সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পাঠানোর পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান।
এমনকি পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) প্রধানকেও পাঠানো হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানান ওই কর্মকর্তা।
তালেবানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি এখনই সামনে না আসলেও পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
সূত্র: যুগান্তর