অবশেষে পাঞ্জশিরও দখল করেছে তালেবান বাহিনী। আর এর মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তানের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। তবে আহমদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা দাবি করছে, তালেবানের হাতে এখনো প্রদেশটির পতন হয়নি, তা তাদের হাতেই আছে। বিবিসি ওয়ার্ল্ডের এক সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিওয় আফগানিস্তানের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ দাবি করেছেন, পুরোপুরি চাপে পড়ে গেছে বিরোধী শক্তি। কিন্তু এখনো পাঞ্জশির তাদের হাতেই আছে।
রয়টার্সে এক তালেবান কমান্ডার বলেছেন, ‘আল্লাহের রহমতে আমরা পুরো আফগানিস্তান দখল করেছি। সমস্যা পাকানো লোকজনদের হারিয়ে দেয়া হয়েছে। পাঞ্জশির এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’ যদিও সেই দাবির স্বপক্ষে কোনো অকাট্য প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এই মধ্যে টুইটারে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের এক সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিওতে আফগানিস্তানের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমরা যে কঠিন পরিস্থিতিতে আছি, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তালেবান আক্রমণের মুখে আছি। তবে আমরা মাটি কামড়ে পড়ে আছি। আমরা (তালেবানকে) প্রতিহত করেছি।’ যে ভিডিও সালেহ পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিবিসি ওয়ার্ল্ডের ওই সাংবাদিক।
টুইটারেও সালেহ বলেছেন, ‘প্রতিহত করার কাজ এখন চলছে এবং চলতে থাকবে। আমি আমার মাটির সাথে আছি, মাটির জন্য আছি এবং সেই মাটির সম্মান রক্ষা করছি।’
তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, তার দেশত্যাগের খবর মিথ্যা। তবে তিনি কোথায় আছেন, তা নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
ন্যাশনাল প্রতিরোধ ফ্রন্টের (এনআরএফ) মুখপাত্র আলী নাজারি বলেন, তার বাহিনী তালেবানকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েক শ’ তালেবান যোদ্ধা আটকা পড়ে গেছে। তাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন আত্মসমর্পণের শর্ত নিয়ে আলোচনা করছে।
সালেহর ছেলে এবায়েদুল্লাহও পাঞ্জশির পতনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। রয়টার্সকে মেসেজে জানিয়েছে, ‘না। এটা ভুয়ো খবর।’
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। তবে পাঞ্জশির প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। তালেবান প্রথমে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে পাঞ্জশির সমস্যার সমাধান করার ওপর জোর দেয়। কিন্তু আলোচনা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পর উত্তর আফগানিস্তানের সেই প্রদেশে দখলের জন্য তালেবান অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে একাধিকবার তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত