রূপালী পর্দায় সফল জুটি শাবনাজ-নাঈম ‘চাঁদনী’- ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে লক্ষ দর্শকদের হৃদয়ে আজও চির জাগরূক হয়ে আছেন। দীর্ঘদিন এ জুটি রূপালী পর্দায় নেই। বর্তমানে কেমন আছেন জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় শাবনাজের সঙ্গে। কেমন আছেন? প্রশ্ন করতেই উত্তরে বললেন, আল্হামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ্পাক ভালোই রেখেছেন। দীর্ঘদিন অভিনয়ে নেই। বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে? একগাল হেসে বললেন- আমি তো সিনেমা থেকে সরে এসেছি ১৯৯৬ সালে। ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’- সিনেমাই আমার শেষ।
বাধ্য হয়ে বাপ-ছেলের যৌন নির্যাতন মেনে নেন জোছনা
তবে দর্শক আমাকে শেষ দেখেছেন ‘ডাক্তার বাড়ী’ সিনেমায়। অবশ্য এটিএম শামসুজ্জামান ভাই’র বিশেষ অনুরোধে আমি অমিত হাসানের ভাবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আপনারা দু’জন তো দীর্ঘদিন টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় অবস্থান করছেন? কৃষি কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন- কেমন লাগছে? শাবনাজ বলেন, মাটি ও মানুষের সঙ্গে না মিশলে জীবনের অনেক দিকই অজানা থেকে যায়। বিশেষ করে গ্রামের সহজ-সরল কৃষক ভাইদের সঙ্গে আমাদের দু’জনার জীবনের আরেকটি দিক উন্মোচন হলো। যে জীবনে নেই কোনো কপটতা, নেই কোনো ভনিতা। আছে শুধুই ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর দু’মুঠো অন্নের জন্য যুদ্ধ। আমরা প্রথমদিকে টানা সাত মাস টাঙ্গাইলে ছিলাম; অবশ্য এর মাঝে হয়তো দু’-একদিনের জন্য ঢাকায় যেতাম। টাঙ্গাইলে কেমন কাটছে আপনাদের? শাবনাজ বলেন, সেই ভোরবেলা নামাজ দিয়ে শুরু আমাদের দিন। এর মধ্যেই আমাদের কৃষক ভাইদের আনাগোনা শুরু হয় মাঠ থেকে সবজি, ধান, ফল-ফলাদি তুলে স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া। আর নাঈমের মাছ শিকারের শখ সেই শৈশব থেকেই। ঢাকায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বাণিজ্যিকভাবে টিকিট কেটে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা হতো, আর নাঈম সেগুলোতে অংশ নেয়নি। এখন তো নিজেদের বিশাল পুকুর- যেখানে সব রকম মাছের চাষ করছি আমরা। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ বাজারে বিক্রি করে দেই। নাঈম নিজেও বড়শি দিয়ে বসে যায় মাছ ধরতে। আমাদের বাড়ির উঠোনে অনেক রকম পাখির সমাগম হয়। আমি ও নাঈম বসে দেখি এবং তাদের জন্য খাবার ছিটিয়ে দেই। তারা আনন্দচিত্তে নির্ভয়ে সেগুলো খায়। সত্যি বলতে ঢাকায় বসে কোনোদিনই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। নাঈম-শাবনাজ দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান বর্তমানে কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। পুরনো সহশিল্পীদের সঙ্গে কি যোগাযোগ হয়? শাবনাজ বলেন, খুবই কম। করোনাকালীন আমরা নিজের বাড়ি ছাড়া বাইরে বের হইনি। নাঈমের অভিনয়ের বাইরে আরও কিছু বাড়তি গুণ রয়েছে- যেমন বাঁশি বাজানো, তবলা বাজানো। মাঝে মধ্যে পুকুর ঘাটে বসে যখন সে বাঁশিতে সুর তোলে আমি সেই সুরে আনমনা হয়ে যাই।