ভাদ্র মাসের শুরু, নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করেছে। ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জে এই সময় ধরা পড়ছে অনেক মাছ। জেলেদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শখের বশে নেমে পড়ছেন মাছ ধরতে। রীতিমত উৎসবে পরিণত হয়েছে মাছ ধরা। তাই ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জে মাছ ধরার চাঁই ও নৌকার কদর বেড়ে গেছে বহু গুণ। ব্যস্ত সময় কাটছে নৌকা তৈরির মিস্ত্রি ও চাঁই তৈরির কারিগরদের।
এ মৌসুমে নৌকায় জাল, চাঁই বা স্থানীয় ভাষায় রাবানী (মাছ ধরার ফাঁদ) অথবা বঁড়শি নিয়ে মৎস্য শিকারে ছুটে চলেন জেলেরা আর মৌসুমী মৎস্য শিকারীরা। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় চাঁই ও নৌকার কদর। আর এই মৌসুমে চাঁই ও নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এ অঞ্চলের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী।
অন্যদিকে ধুমছে চলছে মাছ ধরার চাঁই, ঝাঁকি জাল তৈরি ও বিক্রির কাজ। বংশ পরম্পরায় জেলায় প্রায় আট শ’ পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে বাঁশের চাঁইসহ মাছ শিকারের নানা উপকরণ তৈরি করেন।
ঘিওর উপজেলার জাবরা মাঝিপাড়া গ্রামে বাঁশের রাবানী, চাঁই, বাণা বিক্রি করেন মাদারী রাজবংশী। তিনি বলেন, আমাদের তৈরি মাছ ধরার এসব সামগ্রী জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির পাশাপাশি চলে যায় দেশের প্রায় ১৭ টি জেলায়।
কালাচাঁদপুর এলাকায় খালে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন মোঃ সমশের মিয়া। তিনি বলেন, বন্যায় অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তিন দিন ধরে আমি এখানে ‘ধর্ম’ জাল পেতে মাছ ধরছি। প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭/৮ কেজির মতো মাছ পাচ্ছি।
বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নয়াচড় এলাকার চকে ১৫টি চাঁই পেতে মাছ ধরছেন জব্বার আলী। মাছ ধরে আমরা পরিবারের সবাই খাচ্ছি। আবার বিক্রিও করছি। সপ্তাহখানেক ধরে গড়ে ৩/৪ শ’ টাকার মাছ বিক্রি করছি।
সূত্র: নয়াদিগন্ত