মানিকগঞ্জের ঘিওরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাটে পানি নিমজ্জিত হওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। গবাদী পশু নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন খামারীরা।
শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টের পানির স্তর পরিমাপক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টে ৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারকে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ পয়েন্টে ৮ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার পরিমাপে প্রবাহিত হয়। তবে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ৮ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার পরিমাপে প্রবাহিত হয়, যা বিপৎসীমা থেকে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তরা পয়েন্টে আরো ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার সিংজুরী, বরটিয়া, নালী, পয়লা ও বানিয়াজুরী ইউনিয়নের কিছু অংশে পানি প্রবেশ করেছে। কালীগঙ্গা ও পুরাতন ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন বন্যা আতঙ্কের পাশাপাশি নদী ভাঙনের আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন।
নালী ইউনিয়নের দিয়াইল গ্রামের মোঃ জসীম বলেন, আমাদের গ্রামের কাঁচা রাস্তায় পানি উঠেছে। এই রাস্তায় প্রায় অর্ধ কিলোমিটার নৌকা পাড়ি দিয়ে তাপরপর বাজারে যেতে হয়।
পয়লা এলাকার বাসিন্দা আমির উদ্দিন বলেন, অসময়ে বন্যার পানিতে তার সবজী ও কচু বাগানে পানিতে তলিয়ে গেছে। পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে ৪ লাখ টাকার ফসল।
উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলামান। আমরা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছি।
সূত্র: নয়াদিগন্ত