বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ভণ্ড ফকির রোমান ওরফে রুম্মান হাসানকে (২৪) গ্রেফতারের পর তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মৃত মানুষের মাথার খুলি, যৌন উত্তেজক ওষুধ, জাদুটোনা করার সরঞ্জাম ও অসংখ্য তাবিজ কবজ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বিহার ফকিরপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
গ্রেফতার রুম্মান ওই গ্রামের বিহার ফকির পাড়ার আজাহার আলী ফকিরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজাহার আলী ফকির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তাবিজ কবজ করে মানুষের সাথে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। তার ছেলে রোমান ওরফে রুম্মান হাসান স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া শেষ করে তার বাবার সাথে তাবিজ কবজের কাজ করেন। একপর্যায় রুম্মান বাড়িতেই আস্তানা খুলে বসেন। তার কাছে দূর-দূরান্ত থেকে নারীরা আসতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে। তিনি এলাকায় প্রচার করেন যে জিন হাজিরের মাধ্যমে ভবিষ্যত বলে দিতে পারেন। এ কারণে নিঃসন্তান নারী ও প্রবাসীদের স্ত্রীরা তার বাড়িতে বেশি আসতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে দেয়া, প্রেমের সস্পর্ক স্থাপন করে দেয়া থেকে শুরু করে সব সমস্যার সমাধানের নামে তিনি নারীদের যৌন হয়রানিসহ তাদেরকে কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন। কিন্তু সামাজিক মান-সম্মানের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতো না।
এর মধ্যে শনিবার শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের চককানু গ্রামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে রুম্মান হাসানকে গ্রেফতার করে। এ সময় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে মানুষের মাথার খুলিসহ বিভিন্ন সরাঞ্জাম উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর রোমানের বিরুদ্ধে নারীদের যৌন হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত