নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী ১১ নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে তাদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল হাকিম সাঈদ আল নাহীর আদালতে হাজির করে সুধারাম থানা পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের জামিন দেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে নোয়াখালীর পৌর এলাকায় সোমবার চলমান ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাইজদী শহরে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন— জাহিদুল ইসলাম (১৯), বিজয় রবি দাস (১৯), হাবিবুর রহমান (১৮), ইফরান আহাম্মেদ (২০), জাহিদ হোসেন (১৮), বিজয় (১৪), মো. রাসেল (২১), মো. আরজু (২৫), মো. জিহাদ (২০), মাহফুজুর রহমান (২১), মো. সোহেল (২৯)।
নোয়াখালী কোর্ট পরিদর্শক-১ মো. শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে নোয়াখালী পৌর এলাকায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিসি খোরশেদ আলম।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী ৩০-৪০ জনের একটি দল নোয়াখালী গণপূর্ত ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ১১ নেতাকর্মীকে আটক করে সুধারাম থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সুধারাম মডেল থানার এসআই সুজন বাদী হয়ে ১৮৮ ধারায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আটক ১১ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।
নোয়াখালী কোর্ট পরিদর্শক-১ শাহ আলম বলেন শুনানি শেষে আদালত ১১ আসামির সবাইকে মামলায় জামিন দিয়ে দেন।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, আটক ১১ জনের মধ্যে দুই-একজন আমাদের লোক ছিল। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। তাদের আদালতে হাজির করা হলে সবাই জামিন পেয়ে যান। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুর আলম জিকু।
সূত্র: যুগান্তর