কমতে শুরু করেছে রাজবাড়ী অংশের পদ্মার পানি। কিন্তু দুর হচ্ছে না বন্যাকবলিতদের ভোগান্তি। নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এছাড়া দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় অসহায় হয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। পানিবন্দি অসংখ্যক মানুষ ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টেই কমেছে পদ্মার পানি। গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ১০ সেন্টিমিটার কমে ৬২ ও রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুরে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৯ এবং পাংশার সেনগ্রামে ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।
বুধবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ লিডার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে, নিম্নাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে থাকায় চলাচল, থাকা-খাওয়া, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দিলেও তা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত না অভিযোগ রয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজের অধিক পরিবারে ৪০ হাজারের মত মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ
কার্যক্রম চলছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সব পানিবন্দি ত্রাণ সহায়তা পাবে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত