আফগানিস্তান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। বিশেষ করে তালেবানরা ক্ষমতায় আসায় তা আরো জটিল হয়েছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কৌশলগত দিক দিয়ে ভারতকে কঠিনভাবে এক কর্ণারে নিয়ে গেছে। অনলাইন দ্য হিন্দুর সাপ্তাহিক আয়োজন পলিটিক্যাল লাইনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক ভার্গিস কে. জর্জ। তিনি আরো লিখেছেন, ভারত এক কর্ণারে পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির কিছু রাজনৈতিক লাভ হতে পারে। তার মধ্যে প্রথমত: আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়কে হুমকি দেয়ার রিপোর্টে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বেগ পেতে পারে। উত্তর প্রদেশসহ আগামী বছর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্যের নির্বাচন। তাতে এই কার্ড খেলা যাবে। এ একটি ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য আপনাকে বিস্মিত করবে
ব্যবহৃত গাড়ির দাম | বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান
সংস্কার করা জালিওয়ানওয়ালা বাগকে উৎসর্গিত স্মৃতিসৌধের এক অনুষ্ঠানে ২৮ শে আগস্ট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি যুক্তিতর্কের সূচনা করেছেন। মোদি বলেছেন, বিশ্বের যেকোন প্রান্তে সমস্যায় পড়া ভারতীয়দের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত। তার ভাষায়, গুরুর মানবতার শিক্ষাকে সামনে রেখে, দেশ তার নিজের জনগণের জন্য আইন পাস করেছে। এই আইন করা হয়েছে ওইসব মানুষের জন্য যারা ওইরকম পরিস্থিতিতে সমস্যায় আছেন।
কিন্তু তিনি বিস্তারিত বলেননি যে, এই ‘নতুন আইন’ হলো ২০১৯ সালে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। এই আইনের অধীনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, পার্সি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও শিখ অভিবাসীদের দ্রুতগতিতে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা।
এই সিএএ আইন বাস্তবায়নে এখন শিথিলতা দেখাচ্ছে বিজেপি। আইনটির তীব্র বিরোধিতা করেছেন ভারতের বিরোধী রাজনীতিকরা এবং মুসলিম সম্প্রদায়। এই আইনটি করার নেপথ্যে বিজেপির ব্যাখ্যা ছিল, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হচ্ছে। এখন বিজেপির এই অবস্থানে শক্তি যোগান দিয়েছে আফগান পরিস্থিতি। তবুও অসুবিধাজনক একটি অবস্থায় আছে তারা। কারণ, তালেবানদের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে ভারত। আফগান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কার্যকর উপায়ও খুঁজছে ভারত।
সূত্র: মানবজমিন