সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তেমন উল্লেখযোগ্য অর্জন না আসলেও ব্যক্তিগত অর্জনে নিজেকে রাঙিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে গিয়ে ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। এরপর সারা বিশ্বই একক সাকিবের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যতা দেখেছে। সাকিবের মতো অন্যরাও ভালো করলে ওই বিশ্বকাপে অন্যরকম কিছু হলেও হতে পারতো।
দুই বছর পর আবারও আরও একটি বৈশ্বিক আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার অবশ্য ওয়ানডে নয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক এই আসর। বিশ্বকাপ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে দলগুলো। বাদ পড়েননি ক্রিকেটাররাও, দলগত কিংবা ব্যক্তিগত প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত সবাই। এরপরই মাঝে বিশ্বকাপের আগে স্থগিত আইপিএলের বাকি অংশ। ফলে দারুণ প্রস্তুতির সুযোগ থাকছে সবার সামনে। তবে এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগতের চেয়ে দলগত পারফরম্যান্সে নজর রাখছেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপের আগে আইপিএল হওয়ায় প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে কতটা কাজে দিবে, এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘আশা করি সহায়তা করবে। আমরা যেহেতু ওখানে থাকব, ওই কন্ডিশনের সাথে প্রতিদিন আমাদের দেখা হবে, আমরা ম্যাচও খেলব। এই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সাথে ভাগাভাগি করতে পারব, আমি পারব, মুস্তাফিজ পারবে। ৮টি আইপিএল দলে দুইজন প্রতিনিধিত্ব করছি। খেলোয়াড়দের ভাবনা কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কীভাবে ভাবছে অন্যান্য দেশে খেলোয়াড়রা- এগুলো সম্পর্কে ধারণা হবে যা সতীর্থদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারব। যেটা আমাদের বিশ্বকাপে ভালো করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘গতবার আইপিএল শেষ করে খেলতে গিয়েছিলাম (২০১৯ বিশ্বকাপ)। এবারও ওরকম সুযোগ আছে। চেষ্টা করব নিজেকে সর্বোত্তম পন্থায় প্রস্তুত করার, যেন দেশের হয়ে আমার পক্ষে যতটুকু পারফর্ম করা সম্ভব তা করতে পারি। সবসময় একরকম পারফর্ম হবে এটা ঠিক না। আমার চেষ্টা থাকবে শতভাগ।’
বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার মঞ্চ কি না এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারছি, দলের জয়ের পেছনে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি। আমার মনোযোগ সবসময় এরকমই ছিল, এরকমই আছে, এরকমই থাকবে। এটার কোনো পরিবর্তন নেই। সেটা যদি উইকেট না পেয়ে রান কম দিয়েও হয়, আমি খুশি থাকব। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে দলগত পারফরম্যান্সই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: আমাদের সময়.কম