সুনামগঞ্জে নবম শ্রেণীর ছাত্রী নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশের পর সন্ধান পাওয়া গেছে। নিখোঁজ তিশা আচার্য্য নামের ওই শিক্ষার্থীকে শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলক্রসিংয়ের পাশে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে তারা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন দিলে থানার এসআই মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
তবে মেয়েটি কার সাথে কিভাবে সুনামগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়েছে পুরো ঘটনাটি জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে- এই শিক্ষার্থী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারের পর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ আরো জানায়, সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থী তিশা আচার্য্যর সন্ধানের দাবিতে সহপাঠী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধনের খবরটি প্রকাশের পর এই সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানা তাকে শনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্ধারকারী এসআই মো: মাসুদ রানা জানান, এলাকাবাসী মেয়েটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের ক্রসিংয়ের পাশে দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পুলিশের সহযোগিতায় ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলছে।
এ ব্যাপরে শনিবার সংবাদ প্রকাশ হলে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানা পুলিশের নজরে আসে। পড়ে পত্রিকা অফিসে ফোন করে সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতার নামারে ফোন কল দিলে তিশা আচার্য্যর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মেয়েটি সুস্থ হলে সে কার সাথে কিভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছে জানা যাবে।
তিনি জানান, এই কিশোরী শিক্ষার্থীকে কে বা কারা নির্যাতন করেছে কি-না জানা যায়নি। তবে মেয়েটি সুস্থ হওয়ার পর পুরো ঘটনাটি জানা যাবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী তিশা আচার্য্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের রতিশ আচার্য্যর মেয়ে। সে ২৮ আগস্ট প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ি হতে স্কুলে এসে আর বাড়ি না ফেরায় তার বাবা রতিশ আচার্য্য ২৯ আগস্ট সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে ৯ সেপ্টেম্বে বেলা ১১টার দিকে ইয়াকুব উল্ল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সহপাঠী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
সূত্র: নয়াদিগন্ত