পাানশির প্রদেশে আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের বাসা থেকে ৬ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ও প্রায় ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে তালেবান। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে এই দাবি করেছে সংগঠনটি।
তবে এ ব্যাপারে আমরুল্লাহ সালেহ ও পানশির প্রতিরোধ ফ্রন্ট এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। আফগানিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খামা নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির আগবার দাবি করেছেন, ‘আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি তার সঙ্গে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন।’
আগবার বলেন, ‘ঘানিকে গ্রেপ্তার করে আফগান জাতির সম্পদ পুনরুদ্ধার করা উচিত।’ দুশানবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আশরাফ ঘানির পালিয়ে যাওয়া ‘রাষ্ট্র ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’। ঘানি তার সঙ্গে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এর আগে ডেইলি মেইলের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অফিসিয়াল সাইটগুলো থেকে ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ অনেক প্রতিবেদনে মুছে ফেলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, কীভাবে আফগানিস্তানে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ‘দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাত’ সরকার চালায় এবং দায়মুক্তির সঙ্গে অপরাধ করে। তারা সাধারণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করেছে। মানুষকে বিদ্রোহ ও অস্ত্রের মুখে ঢেলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করদাতাদের অর্থের অপচয় বিস্ময়কর ছিল। ‘ভূত’ স্কুল ও সামরিক বাহিনীতে অর্থ অপচয় করা হয়েছে। মাদকবিরোধী প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে যা উল্টো বিপর্যয় তৈরি করেছে। এ ছাড়া দুর্বল নির্মাণ, জ্বালানি চুক্তির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ ও স্বর্ণ কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে পাচার করা হয়েছে।
মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, একজন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড নিয়ে দুবাই পালিয়েছেন। মাদক পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সপ্তাহে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড আফগানিস্তান থেকে থেকে অন্যদেশে পাচার করেছেন। যেখানে দেশটির গড় আয় ছিল বছরে প্রায় ৪৩০ পাউন্ড।
সূত্র: আমাদের সময়.কম