যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে চীনা রাষ্ট্রদূত ঝেং জেগুয়াংকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিটেনের পাঁচ এমপি ও তাদের দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ব্রিটিশ এমপি’রা মিথ্যা কথা ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল চীন। এই অভিযোগে গত মার্চে তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাসহ তাদের সম্পদ জব্দ করেছিল চীন।
এই ঘটনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এমপিদের প্রতিবাদের মুখে হাউজ অব কমন্সে চীন ইস্যুতে সর্বদলীয় একটি সংবর্ধনায় যোগ দিতে দেওয়া হয়নি যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝেং-কে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্স স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল এবং হাউজ অব লর্ড স্পিকার লর্ড ম্যাকফল বলেছেন, এমপিদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞা যতদিন বলবৎ থাকবে, ততদিন চীনা রাষ্ট্রদূতও পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ থাকবেন।
পার্লামেন্টের স্পিকার হোয়েল বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়তই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করি এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশ এবং পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু আমি মনে করি না যে, চীনের রাষ্ট্রদূতের হাউস অব কমন্স ও আমাদের কর্মস্থলে আসা উচিত, যখন তার দেশ আমাদের কয়েকজন সদস্যর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।’
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় চীনা দূতাবাস এই ঘটনাকে ‘নিন্দনীয়’ ও ‘কাপুরুষোচিত’ বলে বর্ণনা করেছে।
উইঘুর মুসিলমদের ওপর চীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। চীন সঙ্গে সঙ্গেই এর জবাবে পাঁচ ব্রিটিশ এমপিসহ আরও দুই জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া এই ব্রিটিশ এমপি’রা হলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ইয়ান ডানকান স্মিথ, টম তুগেন্দাত, নুসরাত গণি, নীল ও’ব্রায়ান এবং টিম লাফটন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম