চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ফাঁদে ফেলে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ওই নারী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মুলাম হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী পার্শ্ববতী আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুর কাছে একটি কাজ ঠিক করে দিতে অনুরোধ করেন। মিজানুর রহমান কলু কাজ ঠিক করে দেয়ার কথা বলে তাকে আসমানখালী বাজারে আসতে বলে। গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই নারী আসমানখালী বাজারে মিজানুর রহমান কলুর সাথে দেখা করেন। এ সময় কলুর সাথে থাকা পার্শ্ববর্তী শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন একটি কাজ দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে ওই নারীকে বাজারের একটি দোতলা ভবনে নিয়ে যায় তারা। এরপর শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), বারেক আলীর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ নাজিরুল (২৫), বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সেন্টুর ছেলে রিপন ওরফে লিপন (৩৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ হাবু (৪২), নান্দবার গ্রামের মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ হামিদুল (৩৪), আসমানখালী গ্রামে মিজানুর কলুসহ অজ্ঞাত একজন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে বিকেলের দিকে তাকে ওই কক্ষে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে ওই নারী বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মিজান ও রিপন ঘটনা জানাজানি না করতে হুমকি দেয়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, বুধবার রাতে ওই নারী আলমডাঙ্গা থানায় এসে সাতজনের নাম উল্লেখসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মুলামকে গ্রেফতার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। আসামি মুলামকেও আদালতে পাঠানো হবে।
সূত্র: সমকাল