ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় ঢাকা থেকে বরগুনা গামি পূবালী-১ নামের একটি দোতলা লঞ্চ আটকে গেছে ডুবোচরে। চার দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি লঞ্চটি। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট এলাকার ঘটেছে এ ঘটনা।
জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঝড়-বাতাস শুরু হলে পূবালী-১ নামের ঐ লঞ্চটি প্রায় সাড়ে ৩শ যাত্রী নিয়ে উপজেলার চরপালট এলাকায় ডুবোচরে আটকে যায়। এতে ওই লঞ্চে থাকা যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। পরে কিছু যাত্রীকে রাজারহাট-বি নামে অপর একটি লঞ্চে তুলে দেয় লঞ্চটির কর্তৃপক্ষ। বাকিরা সকালে যে যার মত করে নিজ খরচে গন্তব্যে ফিরে যায়।
অভিযোগ রয়েছে ওই চরে বারবার লঞ্চ আটকে যাওয়ার কারণে ড্রেজার দিয়ে চর কেটে লঞ্চ নামাতে হয়। এতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে পাশেই থাকা গুচ্ছগ্রামটি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট একই স্থানে ‘অভিযান-১০’ নামে আরেকটি লঞ্চ বাধে। সেটি প্রায় ১৫ দিন পরে উদ্ধার করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
পূবালী-১ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. জহিরুল ইসলাম জানায়, নৌপথে বিভিন্ন স্থানে সিগন্যাল থাকার কথা থাকলেও ঢাকা-বরগুনা পথে ঝালকাঠির পরে আর কোনো সিগন্যাল বাতি নেই। যার কারণে হঠাৎ করে দিক নির্ধারন করা বা কোনটা ডুবোচর তা দুর থেকে বোঝা যায় না।
ঘটনার ওই রাতে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। আর এই চরটিও একেবারে নতুন।
লঞ্চটির মলিকপক্ষ থেকে মো. ইমরান খান রাসেল জানান, লঞ্চটি চরে বাধার পরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উদ্ধার চেষ্টা করা হলে ব্যর্থ হতে হয়েছে। এখন অন্য পদ্ধতিতে লঞ্চ নামানোর চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে চর কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাটে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরিশাল নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে দুইজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট করার জন্য। সিগন্যাল লাইট না থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র: যুগান্তর