ধুনট উপজেলায় রেশমা খাতুন (৩৮) নামে নিখোঁজ এক ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের চার দিন পর বু ধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুড়িগাতি গ্রামের একটি ধানক্ষেতে তার পচন ধরা লাশ পাওয়া গেছে। তিনি নিখোঁজ থাকলেও স্বজনরা থানায় কোনো ডিজি বা অভিযোগ করেননি।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই ধুনট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত রেশমা খাতুন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের সদস্য (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড)।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সেলিম জানান, বুধবার বিকালে কুড়িগাতি গ্রামের লোকজন জমির ধারে ঘাস কাটতে যান। এ সময় ধানক্ষেতের ভেতরে একজন নারীর পচন ধরা মরদেহ দেখতে পান। খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের স্বামী ফরিদুল ইসলাম জানান, রেশমা খাতুন গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী শেরপুর যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি ও সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এ ব্যাপারে গত কয়েক দিনে থানায় কোনো ডিজি বা অভিযোগ দেননি। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রী রেশমা খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মরদেহে পচন ধরায় তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, ইউপি সদস্য রেমশা খাতুন গত ৪-৫ দিন নিখোঁজ থাকলেও স্বামী বা পরিবার থেকে কেউ থানায় জিডি করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাতেই নিহতের ভাই থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।