বলা হয়, ‘উপহার নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো মনের আকার।’ তবে মারলন স্যামুয়েলসের ক্ষেত্রে ঘটলো ঠিক উল্টো। উপহারের আকার তথা মূল্য নিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন তিনি। আইসিসির তদন্তের মুখে পড়েছেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।
আবুধাবিতে টি-টেন লীগে খেলতে গিয়েছিলেন স্যামুয়েলস। সেখানে কিছু উপহার পেয়েছিলেন। যাতে তিনি ভঙ্গ করেছেন আইসিসির নীতিমালা।
আইসিসির নিয়মানুসারে ক্রিকেটাররা কোনো টুর্নামেন্ট চলাকালে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যের উপহার কিংবা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করেছেন স্যামুয়েলস।
স্যামুয়েলস টি-টেন চলাকালে দামি উপহার ও সেবা নিয়ে আইসিসি নীতিমালার চারটি ধারা ভঙ্গ করেছেন। স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে আইসিসির ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ এবং ২.৪.৭ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এসেছে। যেখানে আছে, দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে কোনো প্রস্তাবের বিষয় গোপন করা, ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তার বেশি মূল্যের উপঢৌকন নিয়ে সেটি না জানানোর মতো অপরাধ।
অতিমারীতে সুরক্ষাকবচ নিয়ে হাজির Apple
ফের নতুন চমক ফেসবুকে
Bangladesh এ ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য আপনার ধারণার চেয়েও সস্তা হতে পারে
ব্যবহৃত গাড়ির দাম | বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান
জীবনে অনেক ন্যাপি পাল্টিয়েছি, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করলেন তিনি ছয় সন্তানের বাবা
এছাড়া মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া, তদন্তের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্ব করার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে নাম জড়িয়েছে স্যামুয়েলসের।
আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) তদন্ত দলের সামনে হাজির হতে হবে স্যামুয়েলসকে।
এ ঘটনার ব্যাপারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ‘যদিও আমরা এখনো এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারিনি। তবে আমরা পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই কোনো খেলোয়াড় যদি আইসিসির নীতিমালা বহির্ভূত কোনো কার্যক্রমে জড়িত থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে আইসিসি যেকোনো তদন্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড পূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাবে। যেহেতু তদন্ত চলছে তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করছে না।’
২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্যামুয়েলসের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। ক্যারিবীয়দের হয়ে ৭১টি টেস্ট, ২০৭ ওয়ানডে ও ৬৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন স্যামুয়েলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১২ এবং ২০১৬ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। এর আগেও স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে আইসিসির নীতিমালা বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
সূত্র: নয়াদিগন্ত