করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীর নামে এক গ্রাহক। মারা যাওয়ার আগে তার জমা রাখা ৩৭ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন পূবালী ব্যাংক চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরীফ প্রধান ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা সিএএম আদালতে গত রোববার এমন অভিযোগে একটি মামলা করেছেন নিহত গ্রাহকের শ্যালক ঢাকার বংশাল থানাধীন ৪/২, বাগদাসা লেনের বাসিন্দা সালেহ আহমেদ। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে সিআইডি পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, ঢাকার নাজিরা বাজারে পপুলার সাইকেল মাঠ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল আলমগীরের। তিনি মামলার সাক্ষী মো. বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে ৩৭ লাখ পেতেন। সেই টাকা পরিশোধের জন্য বিল্লাল হোসেন আলমগীরকে পূবালী ব্যাংক, নয়াবাজার শাখার একটি চেক প্রদান করেন। পূবালী ব্যাংক চকবাজার শাখায় চেকটি জমা দিতে গত ২১ মে ওই শাখায় ভায়রা শরীফ প্রধানের কাছে যান আলমগীর। শরীফ প্রধানকে তিনি চেকটি দেন। এ সময় অসুস্থতা বোধ করায় চেকটি স্বাক্ষর ছাড়াই তিনি রেখে আসেন।
পরবর্তীতে আলমগীরের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এবং গত ২৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর চেকটি না পেয়ে নিহতের স্ত্রী বংশাল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির তদন্তে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ চন্দ্র দাস জানতে পারেন আলমগীরের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ প্রধান একই শাখার রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় চেকটি জমা দিয়ে ৩৭ লাখ টাকা তুলে নেন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম