ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি আরও ২৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা দেশে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে ন্যাশনাল এয়ার লাইন্সের একটি কার্গো বিমানে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এই টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
টিকাগুলো গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে সেসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিএমএসডি ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষসহ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফাইজারের এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সংরক্ষণ আর পরিবহন জটিলতার কারণে প্রাথমিকভাবে কেবল ঢাকায় বাছাই করা কয়েকটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তৃতীয় দফায় ২৫ লাখসহ সব মিলিয়ে ফাইজারের ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা পেলো বাংলাদেশ। এর আগে করোনা মহামারি প্রতিরোধে ‘কোভ্যাক্সের’ আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ১ম দফায় ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং ২য় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
ফাইজার ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে দুই দফায় মডার্নার টিকাও আসে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মডার্নার ১২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ ডোজ এবং ১৯ জুলাই আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকাসহ দুই দফায় কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে মডার্নার ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়।
এদিকে, কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে আরও ৭১ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অক্টোবর থেকে এ টিকা বাংলাদেশে আসা শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
ফাইজার-মর্ডানার আরও ৮৯ লাখ টিকার বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসব টিকা আগামী মাস থেকে দেশে আসতে শুরু করবে। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, আগামীতে দেশে টিকার কোনো সংকট হবে না।
বাংলাদেশকে কোভিড টিকা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত উপহার হিসেবে বাংলাদেশে ৫৫ লাখ মর্ডানার টিকা পাঠিয়েছে দেশটি।
সূত্র: আমাদের সময়.কম