মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ চার্জশিট দাখিল করেন।
এর আগে গত বুধবার তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওইদিন ভাটারা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ভাটারা ও গুলশান থানার মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় আবারও পাঁচদিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।
অপরদিকে পিয়াসার আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন গুলশান থানায় করা মাদকের মামলায় রিমান্ড শেষে আসামি পিয়াসাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে একই মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এছাড়া ভাটারা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিন ও খিলক্ষেত থানায় গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক গুলশান থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন ও খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২ আগস্ট শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত মডেল পিয়াসার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পিয়াসার দেওয়া তথ্যে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে ধরতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে মৌকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সোমবার দুপুরে গুলশান থানায় পিয়াসার বিরুদ্ধে ও মোহাম্মদপুর থানায় মৌয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মডেল পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
সূত্র:আমাদের সময়.কম