মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমের ওপর নির্ভরশীল সেক্টরে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ)। এমইএফ-এর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব এক বিবৃতিতে বলেন, ১৫ শতাংশের বেশি বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয়া যাবে না।
এর জবাবে এমইএফ বলছে, বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল সেক্টরগুলোতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বিদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এ জন্য অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি তুলেছে সংগঠনটি। কারণ হিসেবে সংগঠনটি বলছে, নির্মাণ সেক্টর, ক্লিনিং সেক্টর, প্লান্টেশন সেক্টরের মতো কিছু সেক্টর আছে যেগুলোতে বিদেশি কর্মী ছাড়া চলতে পারে না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এসব সেক্টরে বেশিরভাগ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। স্থানীয়রা খুব কমই এসব সেক্টরে কাজ করেন। তারা এসব সেক্টরে কাজ করতে চায় না।
সোমবার এমইএফের সভাপতি দাতুক ড. সৈয়দ হুসেইন সৈয়দ হুসমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের উচিৎ স্থানীয় বেকারদের সমস্যাগুলোকে সেক্টরাল ইস্যুগুলির সাথে সম্পৃক্ত না করে বিদেশি শ্রম নির্ভর সেক্টরে বিদেশি কর্মী নিয়োগ অব্যাহত রাখা।
এ দিকে নিয়োগকর্তারা ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনীয় শ্রমিকের চাহিদা পুরণ করতে না পারায় খুব হতাশ হয়ে পড়েছেন।
যদিও পাঁচ লাখের বেশি মালয়েশিয়ান বর্তমানে বেকার রয়েছে। তবে থ্রীডির মতো সেক্টরে তারা কাজে আগ্রহী নয়। এসব সেক্টরের নিয়োগকর্তারা যদি তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ করা না হয় তাহলে মালয়েশিয়ার জাতীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে বিপন্ন হবে।
এমইএফ বলছে, আমাদের অবশ্যই এই বাস্তবতাকে গ্রহণ করে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে জরুরিভাবে তা সমাধান করতে হবে।
নিয়োগকর্তারা স্বীকার করেন, বিদেশি শ্রমিকদের ব্লু কালার চাকরিতে নিয়োগ করা উচিৎ। স্থানীয়দের তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় দেয়া উচিৎ।
এদিকে জোরপূর্বক শ্রম আদায়, বেতন না দেয়া ও শ্রমিক নির্যাতন ইস্যুতে সৈয়দ হুসেইন বলেন, দেশের অধিকাংশ নিয়োগকর্তা দায়িত্বশীল, যারা তাদের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু, কিছু দায়িত্বহীন নিয়োগকর্তারা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এর আইন লঙ্ঘন করে শ্রম খাতে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যার কারণে শ্রম খাতদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এমইএফ এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন নিয়োগকর্তাদের নিন্দা জানায়।
সৈয়দ হুসেইন আশাবাদী, সমগ্র কাজের সেক্টরগুলো আবার চালু হওয়ার সাথে সাথে দেশের কর্মসংস্থানের বাজারে উন্নতি হবে, ফলে বিদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এ দেশে আকৃষ্ট হবে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত