সত্তর বছরের দুলাল মিয়ার জমি থেকে মাটি নিতে চেয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। তাতে রাজি হননি তিনি, যার মাশুল দিতে হয়েছে নির্যাতনের শিকার হয়ে। নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে দুই হাত পিঠমোড়া বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নিয়ে দুলালকে পেটান চেয়ারম্যান। রক্তাক্ত করে ফেলে রাখা হয় তাকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত দুলাল মিয়া উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। দরিদ্র ওই কৃষকের জমি থেকে মাটি নিতে চেয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু ফসলি জমি থেকে মাটি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না বৃদ্ধ। এ নিয়ে চেয়ারম্যান তাকে অনেকবার ধমকও দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় ক্ষেপে যান তিনি। গত সোমবার বিকেলে বৃদ্ধ দুলালকে গ্রামপুলিশের সহায়তায় নিজের গাড়িতে তুলে নেন চেয়ারম্যান। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে বেঁধে ঘণ্টাখানেক মারধর করা হয়। চেয়ারম্যান নিজেও লাঠি দিয়ে পেটান তাকে। এ ঘটনায় দুলাল মিয়া সোমবার রাতেই চেয়ারম্যানকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল মিয়া বলেন, জোর করে তার জমি থেকে মাটি নিতে চাচ্ছিল। না দেওয়ায় তুলে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে দুলাল মিয়াকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বৃদ্ধের শরীরে আঘাতের অনেক চি?হ্ন রয়েছে। জমির মাটি না দেওয়ায় এভাবে নির্যাতন অমানবিক। বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনের কাছে পত্র দিয়েছেন।
হালুয়াঘাট থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
সূত্র: সমকাল