ষাটের দশকের নকশাল আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতীয় পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। এর গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্র- চারু মজুমদার ও লীলা মজুমদারের ভূমিকায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও জয়া আহসানের অভিনয়ের কথা শোনা যায়।
জানা গেছে, এর মধ্যদিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। তবে যাকে নিয়ে অনেকটাই মাতামাতি সেই নওয়াজ জানালেন, ওয়েব সিরিজটিতে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। এমনকি পুরোটাই গুজব!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ তথ্য মতে, নওয়াজের অভিনয় করার সংবাদগুলো অতিরঞ্জিত।
বিষয়টি নিয়ে বলিউডের এই তারকা বললেন, ‘আমি কোনো ওয়েব সিরিজ করছি না। আপাতত এটা থেকে দূরে আছি। তাই ওই বিষয়টি (জয়ার সঙ্গে ওয়েব সিরিজ) পুরোটাই গুজব। আমি এমন কোনো প্রজেক্টে সাইনও করিনি। আপাতত, ততদিন আর ওয়েব সিরিজ করব না যতদিন নিজে রোমাঞ্চিত হই।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ এই ‘সেক্রেড গেমস’ ওয়েব সিরিজ-খ্যাত এ অভিনয়শিল্পী। তিনি মনে করেন, কিছু ব্যবসায়ী এটা শুধু ‘ধান্দা’ হিসেবে এখন ব্যবহার করছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমে যখন ভারতে কিছু পরিচালক এটি তৈরি শুরু করে সেটা ছিল ইউনিক স্টাইল। কিন্তু ইদানীং আমার মনে হয়েছে, এটা তার গুনগত মান ধরে রাখছে না। অনেক কন্টেন্ট আসছে কিন্তু “কোয়ালিটি খারাপ হো চুকি হ্যায়”। ওটিটি এখন কিছু ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আয়ের একটা ধান্দা হয়ে গেছে।’
এদিকে, নওয়াজের এমন মন্তব্যে এখনও কোনো উত্তর দেয়নি ওয়েব সিরিজ সংশ্লিষ্ট কেউই। মূলত নকশাল নেতা চারু মজুমদার নিয়েই এটি তৈরি হবে। তৎকালীন বিতর্কিত পুলিশ কর্তা রুনু গুহ নিয়োগীর লেখা ‘সাদা আমি কালো আমি’ অবলম্বনেই তৈরি হচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ।
সম্প্রতি পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী বছরের পূজার আগেই এর কাজ শেষ হবে। তিনি জানান, বিতর্কিত পুলিশ অফিসারের চোখ দিয়েই দেখানো হবে গোটা সিরিজ। রুনু গুহ নিয়োগীর চরিত্রে দেখা যাবে রণিত রায়কে। এ ছাড়াও প্রাথমিক কথা হয়েছে সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি থাকবেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের ভূমিকায়। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে ভাবা হয়েছে চারু মজুমদারের অন্যতম সঙ্গী কানু সান্যালের চরিত্রে। এ ছাড়া জ্যোতি বসুর চরিত্রের জন্য প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে পরেশ রাওয়াল ও বোমান ইরানির কথা।
তিনটি পর্বে দেখানো হবে এই সিরিজ। প্রথম পর্বে থাকবে ১৯৪৭-১৯৭২ সাল। ১৯৭২-১৯৯০ পর্যন্ত উঠে আসবে দ্বিতীয় পর্বে। শেষ পর্বে থাকবে ১৯৯০ থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপট। কলকাতা, মুম্বাই, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি চীন, রাশিয়াতেও এর শুটিং করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার। বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় তৈরি হবে এটি।
সূত্র: আমাদের সময়.কম