বাড়ির পাশের গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদার জবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অমিতোষ হালদার আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকপাতা সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।
মরদেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন ও কী কারণে তিনি সুইসাইড করেছেন- এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
অমিতোষ হালদার গোপালগঞ্জ সদর থানার পাটিকেলবাড়ি ইউনিয়নের ভূপেন হালদারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সংবাদিকা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ তার সহপাঠীরা।
গগণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন শাহ নিস্তার জাহান কবীর বলেন, ছেলেটা খুব শান্তশিষ্ট আর সম্ভাবনাময়ী ছিল। কিন্তু সে কেনো এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পথ বেছে নিলো বুঝতে পারছি না। মৃত্যুই তো সকল সমস্যার সমাধান নয়। আমাদের শিক্ষক এবং পরিবারকে শিক্ষার্থীদের সাথে গভীরভাবে আলাপ করতে হবে, মিশতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে, কেনো তারা এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।
তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফসান জানি খান বলেন, উনি আমাদের দুই বছরের সিনিয়র ছিলেন। বিভিন্ন সমস্যায় তিনি দুই বছর গ্যাপ দিয়েছেন। অমিতোষ দরকার ছাড়া কারো সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না উল্লেখ করে সহপাঠীরা জানিয়েছে, তাদের ধারণা, হতাশা থেকেই এই মৃত্যু।
সূত্র: আমাদের সময়.কম