সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাশিয়া সফরে গিয়ে এরদোগান বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে মদদ’ দেওয়ার অভিযোগ আনেন এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য পরিশোধ করা টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইয়াহু নিউজ।
রাশিয়ার সোচি থেকে ফেরার পথে এরদোগান সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতার জন্য হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্কের তীব্র সমালোচনা করেন। কুর্দি মিলিশিয়াদের তুরস্ক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে।
এদিকে এরদোগান রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কিনেছেন। ফলে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একই সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে তুরস্ককে বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছি। এর কি হবে? আমরা খুব সহজে এ অর্থ আয় করিনি। হয় তারা আমাদের যুদ্ধবিমান দেবে, না হয় টাকা ফেরত দেবে।
সিরিয়ায় কুর্দিদের যুক্তরাষ্ট্রের মদদ দেওয়া, রাশিয়া থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয় ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্র: যুগান্তর