দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসময় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসময় দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে সর্বোচ্চ ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাজারহাটে ১১৯, রংপুরে ৫৯, সন্দ্বীপে ৫২, নেত্রকোনায় ৪৯, সিলেটে ৪১ ও দিনাজপুরে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ।
গত সোমবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
সূত্র: যুগান্তর