ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তিন সন্তানের এক জননীকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর ওই গৃহবধূর লাশ বাড়ির পেছনের টয়লেটের ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রেখে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বোয়ালমারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
নিহত গৃহবধূর নাম নিলুফা ইয়াসমিন (৪০)। তিনি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া গ্রামের ওহাব মোল্যার মেয়ে।
নিহতের স্বামী আবুল খায়ের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনাসদস্য ছিলেন। তিনিও গত বছর মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিলুফা ইয়াসমিনের মেয়ে প্রিয়াংকার (২২) বিয়ে হয়েছে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফলিয়া গ্রামে। তার দুই ছেলে ইমরান (২০) ও অন্তর (১৮) জাহাজে চাকরি করেন। আঁধারকোঠা গ্রামের ওই বাড়িতে গৃহবধূ একাই থাকতেন।
দুপুরের পর নিহতের ছেলে, মেয়ে এবং মা ফোনে নিলুফাকে না পেয়ে নিলুফার মা সন্ধ্যার পর আঁধারকোঠা গ্রামে তার মেয়ের বাড়িতে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিলুফার গলাকাটা লাশ বাড়ির পেছনের দিকে টয়লেটের ট্যাংকির মধ্যে ডুবে থাকাবস্থায় দেখতে পান।
পরে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম যুগান্তরকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: যুগান্তর