খুলনার কয়রা উপজেলার বামিয়ায় একই পরিবারের মা-বাবা ও সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ভাসিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন মো: হাবিবুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩০) ও তাদের একমাত্র মেয়ে টুনি (১১)।
বামিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান জানান, সকাল ৭টার দিকে গ্রামের লোকজন বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশের পুকুরের পানিতে হাবিবুল্লাহ, তার স্ত্রী বিউটি ও তাদের মেয়ে টুনির লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নিহত হাবিবুল্লাহর সমস্ত শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অস্ত্রের আঘাতে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার হাত-পা বাঁধা ছিল। এছাড়া তার মেয়ে টুনির কপালেও ধারালো অস্ত্রের বড়ো ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর রহমান একজন দিনমজুর। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে তারা সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে রাতের যেকোনো সময় ঘুমন্ত অবস্থায় অস্ত্রধারীরা তাদেরকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে।
কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের মা-বাবা ও তাদের একমাত্র সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে কী কারণে, কারা তাদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: নয়াদিগন্ত