গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকার চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা বিদ্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙে বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল এবং কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
একের পর এক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিদ্যালয়, পুলিশ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড রয়েছে। বাকিগুলোতে কোনো নাইটগার্ড নেই। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের নেই কোনো বাউন্ডারি ওয়াল। বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় চুরিসহ ঘটছে বিভিন্ন ঘটনা।
গত ২৫ আক্টোবর রাতে উপজেলার তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চোরেরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা আলামারির তালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এর আগে, গত ২০ অক্টোবর রাতে উপজেলার সিনাবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি হয়।
একই রাতে উপজেলার ঢোলসমুদ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর উপজেলার মাটিকাটা, চান্দরা, গোসাইবাড়ী, কালিয়াকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে।
সিনাবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে গত ২০ তারিখ রাতে চোরদল অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে ল্যাপটপসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। নাইটগার্ড এবং বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় চোরদল সহজে এ রকম ঘটনা ঘটাচ্ছে।
কালিয়াকৈর শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই উপজেলার কোনো না কোনো বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনা উচিত।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন