সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আশিষ মল্লিক (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানী থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন আশিষ মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আশিষকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোমেন আরও বলেন, গ্রেফতার আশিষ সাইবার অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ফার্মগেট এলাকায় কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন।
তিনি বলেন, আশিষ মল্লিক গত ১৬ অক্টোবর একটি ফেসবুক পেইজ খোলেন। সেই পেইজ ও নিজের ব্যক্তিগত আইডি থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করে আসছিলেন। তিনি নিজেই সেই পেজের অ্যাডমিন এবং তার সমমনা আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে অ্যাডমিন হিসেবে নিযুক্ত করেন। খুব দ্রুত পেইজটির সদস্য ও ফলোয়ার কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। সেই ফেসবুক পেইজ থেকে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, তার ফেসবুক পেইজ থেকে পার্বত্য জেলার একজন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়- সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের হুমকি দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। নোয়াখালীতে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে পায়ের রগ কেটে পুকুর ফেলে দিয়েছেন বলে অপপ্রচার করা হয় সেই পেইজে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাকে আশিষ মল্লিকের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তার মনে হতো, এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতিত। তাই তাদের নিয়ে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উত্তেজিত হবে। এটাই তার মোটিভ ছিল বলে আমাদের ধারণা।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন