বিশ্বজমিন (২৮ মিনিট আগে) অক্টোবর ২৮, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন | সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আস্থার প্রকাশ ঘটালেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানে অবস্থান করছে মার্কিন কিছু সেনা। তারা তাইওয়ানের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চীন যদি তার দেশে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে তাহলে তার দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। এই আস্থা তার আছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাইওয়ানের পাশে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ করে, তাহলে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে তাদের পক্ষ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তার সঙ্গে যুক্ত হলো তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য।
জিম্মি মোল্লা বারাদার, মারা গেছেন আখুন্দজাদা
পর্নো ছবির মামলায় জামিন পেলেন রাজ কুন্দ্রা
Bangladesh এ একটি ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য লোকজন বিশ্বাস করতে পারবে না
ব্যবহৃত গাড়ির দাম | বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান
দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা অটো ড্রাইভার জিতলেন ১২ কোটি রূপির লটারি
এর ফলে বেইজিংয়ের মেজাজ যে বিগড়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র ও বেইজিংয়ের মধ্যে নতুন করে সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট সাই নিশ্চিত করে বলেছেন, তার স্বাধীন রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের অল্প সংখ্যক সেনা উপস্থিত রয়েছেন। তবে তাদের সংখ্যা কত তা তিনি প্রকাশ করেননি।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, তাইওয়ানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা ৩২। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১০। প্রেসিডেন্ট সাইয়ের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক আছে, তার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও এর কংগ্রেসের সমর্থন আছে আমাদের প্রতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন খুবই সহায়ক। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন চীন থেকে ক্রমবর্ধমান হারে হুমকি আসছে।
তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা কিছুদিন ধরে তুঙ্গে। এই দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের শাসনের অধীনে নিতে চীন শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। ফলে সেখানে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট সাই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে আমাদের বিস্তৃত সহযোগিতা। কয়েকদিন আগে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে কমপক্ষে ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীনের কর্তৃপক্ষ শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
তাইওয়ান এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো এর আগে দেশটিতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন নিশ্চয়তা দেয়া হলো, তখন তাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরো খারাপের দিকে যাবে। কারণ, তাইওয়ানের কাছাকাছি বেইজিং ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পেশীশক্তির প্রদর্শন হতে পারে। এ বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছেন, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মধ্যে এ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং তা ঘন ঘনই পরিচালিত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। উল্লেখ্য, বেশির ভাগ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও অস্ত্রের ক্রেতা তাইওয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই বলেছেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের তার গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার অধিকার আছে এবং তা তারা রাখবেন।
ওদিকে তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতির বিষয়ে এ মাসের শুরুর দিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। বন্ধ করা উচিত অস্ত্র বিক্রি। এসব করা উচিত চীনের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষতি এড়াতে।
সূত্র: মানবজমিন