টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরকে ঘিরে বেশ আশাবাদী ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৈশ্বিক আসরটির শুরু থেকে সব আশা গুড়িয়ে দিয়ে হতাশ করেছেন ক্রিকেটাররা। শুরুতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হার, এরপর মূল পর্বে এসে তিন ম্যাচের দুটিতেই জয়ের খুব কাছ থেকে শূন্য হাতে ফেরা। সবমিলিয়ে টাইগাদের পারফরম্যান্সে খুশি নন কেউই। দল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনারও শেষ নেই। তবে সবগুলো বিষয়ে এখনো কোনো কথা না বললেও বিশ্বকাপের পরপরই বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের আভাস পাওয়া গেছে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ওপেনারদের ফর্মহীনতা, ফিল্ডারদের প্রতি ম্যাচে কয়েকটি করে ক্যাচ মিস। এ ছাড়াও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ দল। অন্য ছয়বার এই ফরম্যাটে দল নিয়ে যত কথা হয়নি, এবার মাঝ পথেই হয়েছে তার দ্বিগুণ। এত কিছুর মধ্যেও আপাতত বিশ্বকাপে নজর রাখার ভাবনা নির্বাচক হাবিবুল বাশারের। তবে বিশ্বকাপ শেষেই বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তে আভাস দিয়েছেন তিনি।
দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ সফরে রয়েছেন হাবিবুল বাশার। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বকাপের মধ্যেই আছি। আমাদের এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। ভবিষ্যতে কী করতে হবে না করতে হবে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমাদের চিন্তা আছে। তবে সেই চিন্তাটা এই বিশ্বকাপ শেষ করার পরেই করতে চাই।’
বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান সিরিজ। যার কারণে ওই সিরিজের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর তো কিছু সময়ও থাকবে পাকিস্তান সিরিজের আগে, তখনই আমরা চিন্তাভাবনাগুলো করব। এই মুহূর্তে এখন যে দলটা আছে সেটা নিয়েই ভাবছি। পরবর্তীতে দুটি ম্যাচ আছে সেটি নিয়ে ভাবছি। পরে কী হবে সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে কী করা উচিত সেটা তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের ফিল্ডিংয়ে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা দেখেন বাশার। তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিং নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট অনুশীলন হয়। আমার মনে হয় যখনই বড় কোনো টুর্নামেন্টে আমরা খেলতে নামি, সেটা ঘরের মাঠে হলেও মনস্তাত্ত্বিক চাপ নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই চাপটা আমরা অনেক সময় নিতে পারি না। যারা ক্যাচ মিস করেছে তারা কিন্তু দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ওই চাপ নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে আমাদের বেশি কাজ করা উচিত।
সূত্র: আমাদের সময়.কম