মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ৩ বছর ধরেই বন্ধ। করোনার ধকল কাটিয়ে সৌদি আরব, কাতার, ওমানসহ শ্রমবান্ধব দেশগুলোতে কর্মী যাওয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সেই হার দিন দিন বাড়ছে। অপর দিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় প্রচুর কর্মীর চাহিদা থাকার পরও দেশটিতে কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া এখনো ঝুলেই আছে। কাদের ‘স্বার্থে’ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারটি খোলা যাচ্ছে না, তা নিয়ে এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত সহস্রাধিক (১৪০০) রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের অনেকে বলছেন, এই শ্রমবাজারটি দাতো আমিন নূরের দেয়া ফর্মুলায় সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টার কারণেই ঝুলে আছে। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতবারের মতো সিন্ডিকেটকে প্রাধান্য না দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর পক্ষে মতামত দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে জনশক্তি প্রেরণের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তারিখ বার বার পরিবর্তন হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ সদস্যরা। সর্বশেষ ১ নভেম্বর সংগঠনের প্যাডে বায়রা নির্বাচন পুনঃতফসিল-২০২১ সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা জানানো হয়।
বায়রা নির্বাচন ২০২১ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৯৫০১/২০২১ এর অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) ২০২১-২০২৩ মেয়াদি নির্বাচনী কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। চিঠিতে বায়রা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান ও সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার আল-কবীর সিদ্দিকীর স্বাক্ষর রয়েছে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বায়রার প্রশাসক নুর মো: মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত অপর একটি চিঠি ২৫ অক্টোবর বায়রার সাধারণ সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়।
সূত্র: নয়াদিগন্ত