গত বৃহস্পতিবারই আরিয়ান খানকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের বম্বে হাইকোর্ট। কিন্তু তারপরেও দুই রাত আর্থার রোড জেলের কুঠুরিতেই কেটেছে শাহরুখ-পুত্রের।
বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে জামিন দিলেও, রায়ের বিস্তারিত প্রতিলিপি বা জামিনের শর্ত প্রকাশ্যে আনেনি কোর্ট। তাই সেই রাতটা জেলে থাকতে হয় আরিয়ানকে।
আশা ছিল শুক্রবার বিকেলে মন্নতে ফিরবেন আরিয়ান। শাহরুখ-পুত্রের লিগ্যাল টিম নিজেদের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখেনি। আরিয়ানের জামিনদার হিসেবে জুহি চাওলা প্রস্তুত ছিলেন, নগদ এক লাখ টাকা তৈরি ছিল, সিউরিটি সার্টিফিকেটও রেডি ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে আরিয়ানের জামিনের অর্ডার নিয়ে আর্থার রোড পৌঁছাতে পারেননি সতীশ মানেশিন্ডে।
কোথায় হলো গণ্ডগোল? কেন দেরি হলো এই প্রক্রিয়ায়? সেই কথা সম্প্রতি ফাঁস করেছেন আরিয়ানের বন্ধু এবং ক্রুজ ড্রাগ পার্টি কাণ্ডের সহ-অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্টের বাবা আসলাম মার্চেন্ট। তিনি নিজেও পেশায় একজন আইনজীবী।
তিনি জানান, ‘কাগজপত্র তৈরির কাজ সেশন কোর্টে আটকে যায়, আসলে যখন আরিয়ানের রিলিজ মেমো (জামিন পরোয়ানা) টাইপ করা হচ্ছিল ঠিক তখনই গোটা সেশন কোর্টের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর কারেন্ট আসে’। এই দেরির জন্যই নির্ধারিত সাড়ে ৫টার মধ্যে জামিনের পরোয়ানা নিয়ে আর্থার রোড জেলে হাজির হতে পারেননি আরিয়ানের আইনজীবীরা।
কারাগারের নিয়ম রয়েছে, বিকেল সাড়ে ৫টার পর কোনো অভিযুক্তের জামিন পরোয়ানা গ্রহণ করে না তারা। কারণ সূর্যাস্তের পর বন্দিদের মুক্তি দেয়ার নিয়ম নেই।
গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী ক্রুজে উঠতে গিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- এনসিবি’র হাতে আটক হন আরিয়ান। দু-দফা এনসিবি হেফাজতের পর গত ৮ অক্টোবর আর্থার রোড জেলে পাঠানো হয়েছিল বলিউড বাদশাহর ছেলেকে।
আরিয়ানের কাছে মেলেনি মাদক, তবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে এনসিবি দাবি করে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সাথে যোগসাজশ রয়েছে আরিয়ান খানের।
সূত্র: নয়াদিগন্ত