ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দাফনের ৯ মাস পর সজীব ভূঁইয়া (২৩) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
ফরিদপুর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে স্থানীয় মিঠাপুর কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়।
পরে লাশটি ফের ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সজীব ভূঁইয়া উপজেলার পৌর সদরের মিঠাপুর গ্রামের কামাল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত প্রায় ৯ মাস আগে লাশটি দাফন করা হয়। লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ইমাম রাজী ও গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার নাসিম।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি সজীব ভূঁইয়া তার কর্মস্থল গাজীপুর থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে যান।
পর দিন বিকালে ধারের টাকা আদায়ের জন্য প্রতিবেশী ইস্রাফিল তালুকদারের বাড়িতে আটকে রেখে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে। এতে সজীব অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সুযোগে তার মুখে বিষ ঢেলে দেন অভিযুক্তরা। এর পর ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সজীবকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে তার পরিবারকে খবর দেন অভিযুক্তরা।
২৯ জানুয়ারি সজীবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বোয়ালমারী উপজেলার বাইখীর নামক স্থানে মাইক্রোবাসে তার মৃত্যু হয়। পরে ৩০ জানুয়ারি ময়নাতদন্ত শেষে সজীবের লাশ তার বাড়ির পাশে কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় সজীবের বাবা কামাল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ইস্রাফিল তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
সিআইডি সজীব ভূঁইয়ার মরদেহ উত্তোলনের মাধ্যমে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাইলে আদালত অনুমতি দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
সূত্র: যুগান্তর