আমেরিকান সোসাইটি অব নেফ্রোলজির (এএসএন) বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই বছর ধরে দেড় হাজার রোগীর ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। এএসএন’র ‘কিডনি উইক ২০২১’ শীর্ষক অনলাইন সম্মেলনে চলতি সপ্তাহে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বায়ুদূষণের সঙ্গে কিডনির নানা জটিল অসুখ ও হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের রোগও বেশি দেখা দিচ্ছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ার কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা সিকেডির (দীর্ঘদিনের কিডনির অসুখ) পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে দেহে গ্যালেক্টিন নামে এক ধরনের প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ে। দেহে গ্যালেক্টিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ডে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আর সেই ক্ষত সারানো সম্ভব হয় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘মায়োকার্ডিয়াল ফাইব্রোসিস’।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা আমেরিকার কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হাফসা তারিক বলেন, যখন হৃৎপিণ্ডে ফাইব্রোব্লাস্ট নামে বিশেষ ধরনের একটি কোষ কোলাজেন তৈরি করতে শুরু করে, তখনই মায়োকার্ডিয়াল ফাইব্রোসিস দেখা দেয়। আর এতে হার্ট (হৃৎপিণ্ড) ফেইলিউর হয়, যা মৃত্যু ডেকে আনে। বায়ুদূষণের সঙ্গে কিডনির অসুখ ও হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, বাতাসে বিশেষ ধরনের দূষণ কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫) পরিমাণ বাড়লেই হৃদরোগের সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে কিডনিরও। দূষণ কণার পরিমাণ কম থাকলে হৃৎপিণ্ড ও কিডনির ততোটা ক্ষতি হচ্ছে না।
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ইকোনমিক টাইমস
সূত্র: বিডি প্রতিদিন