ডিজেলের দামের পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গতকাল রোববার উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি আজ সোমবার প্রকাশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার রাতে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে কিলোমিটার প্রতি লঞ্চ ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা কম দূরত্বে লঞ্চের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌরুট পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করল।
এতে জানানো হয়, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রথম ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা করা হয়েছে।
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে পুনর্নির্ধারিত এ ভাড়া আজ থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া এক টাকা ৭০ পয়সা ছিল। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি ছিল ১৮ টাকা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। শুক্রবার লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। শনিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন বিকেল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দেন মালিকরা। তবে ভাড়া বাড়ানোয় গত রাত থেকেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন লঞ্চ মালিকরা।
সূত্র: আমাদের সময়.কম