টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আয়োজক দেশ ভারত। করোনাভাইরাসের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপের আসর বসলেও মূল আয়োজকের ভূমিকায় তারা। তবে নিজেদের আয়োজিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা হলো না স্বাগতিকদের। সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে বিরাট কোহলিদের। সেমির লড়াইয়ে অন্যদের অংক ঠিকঠাক মিললেও, ভারতের অংকটাই শুধু মিললো না। আশা জাগিয়ে সেমির লড়াইয়ে টিকতে পারলেন না রোহিত-রাহুলেরা।
বিশ্বকাপের শুরুতে পাকিস্তানের সঙ্গে দশ উইকেটে হেরেছিল ভারত। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছেও পরাজিত হয়। টানা দুই হারে সেমির স্বপ্ন ভঙ্গের শঙ্কা দেখা দিলেও আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সেই আশার পালে হাওয়া লাগায় কোহলিরা। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, যেখানে সহজে জিততে পারতো। তাতে টানা তিন জয়ে সেমিতে যেতে পারতো ভারত, তবে তার জন্য আফগানদের কাছে হারতে হতো কিউইদের।
সমীকরণ কঠিন ছিল ভারতের। যার কারণে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের পর ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারাতে না পারলে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেবেন তারা। এখন ঠিক তাই হয়েছে। আফগানিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি, যার কারণে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রশীদ খান-নবীদেরও।
তবে সবার আগে টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিতে পা রাখে পাকিস্তান। বড় বড় প্রতিপক্ষদের হারানোর পর এবার তাদের সামনে বাধা স্কটল্যান্ড। আইসিসির সহযোগী দেশটিকে হারাতে পারলে গ্রুপ দুইয়ে শীর্ষে থাকবেন বাবর আজমরা। দ্বিতীয় দল হিসেবে যাবে নিউজিল্যান্ড। এ ছাড়াও গ্রুপ এক থেকে সেমিতে আসা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া হবে তাদের প্রতিপক্ষ। সেই হিসেবে পাকিস্তান গ্রুপ সেরা হলে প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রেলিয়া। আর নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় দল হিসেবে গেলে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড। তাতে আবারও ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টকে এক সঙ্গে লড়তে দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।
সূত্র: আমাদের সময়.কম