মোবাইলে বিয়ে করবে না জানিয়ে প্রেমিকের ম্যাসেজ পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম নাসরিন।
রোববার বিকালে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বধুঠাকুরানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসরিন লেমুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি ছাত্রী ছিল। তার বাড়ি একই এলাকায় বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত তরুণ আরিফ (২০) একই উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামড়াবাদ গ্রামের কালাম সিকদারের ছেলে।
জানা যায়, আরিফের বাড়ির পাশে কামড়াবাদ গ্রামে নাসরিনের খালার বাসা। খালার বাড়ি বেড়াতে যাবার সুবাদে আরিফের সঙ্গে তার পরিচয় থেকে প্রেম হয়।
রোববার সকালে আরিফ মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে নাসরিনকে জানিয়ে দেয় তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তাকে ভুলে যেতে হবে। এমন ক্ষুদে বার্তা পেয়ে নাসরিন ক্ষোভে দুঃখে ও অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মেয়ের মা নারগিস যুগান্তরকে বলেন, রোববার সকালে আমি বোনের বাড়ি যাই। আমার তিনটি মেয়ে। বড় মেয়ে নাসরিন। আরিফের সঙ্গে আমার ফোনে অনেক বার কথা হয়েছে। আরিফ আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। হঠাৎ আরিফ আমার মেয়েকে অস্বীকার করে। আরিফের কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার স্বামী নয়ন মল্লিক ঢাকা কাজ করে। আমি আরিফের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আরিফের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
সূত্র: যুগান্তর