এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা রোববার শুরু হয়েছে। প্রথমদিন সারা দেশে ১৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত ৩১ জনের মধ্যে এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষার্থীই বেশি। প্রথমদিন এসএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), মাদ্রাসায় আবশ্যিক বিষয় কুরআন মাজীদ ও তাজভীদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে পদার্থ-২ বিষয়ে পরীক্ষা হয়। করোনা মহামারির কারণে এবছর ১০০-এর পরিবর্তে ৫০ নম্বরে এবং তিন ঘণ্টার বদলে দেড় ঘণ্টায় ‘সংক্ষিপ্ত’ সিলেবাসে নেওয়া হচ্ছে এই পাবলিক পরীক্ষা। করোনার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে। মাস্ক পরে তাদের হলে ঢুকতে দেখা যায়। তবে বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে পরীক্ষা নেওয়া হলেও এ বছর করোনার কারণে সাড়ে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হল ছাত্রছাত্রীদের।
প্রথমদিন রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তিনি বলেন, সারা দেশে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখের বেশি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। একটি অংশ গুজব রটানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেয়া হবে না। আর বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মে-জুনে নেয়া সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করার লক্ষ্যে এ বিলম্ব হবে। এসময় তিনি কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান।
পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা ভালো হওয়ার কথা জানায়। তবে কিছু শিক্ষার্থী জানিয়েছে যে, প্রশ্নপত্র তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। এমনকি পরীক্ষার টেনশনে কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের হলেই অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রায় সব শিক্ষার্থী জানিয়েছে, প্রশ্ন যা-ই হোক না কেন-দীর্ঘদিন লেখার অভ্যাস না থাকায় তারা সময়-ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি। যে কারণে যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে তাদেরও নির্ধারিত সময়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তারা পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে দেড় ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা করার অনুরোধ জানায়। কথা হয় রাজধানীর আহমদ বাওয়ানী স্কুল ও কলেজের ছাত্র রিফাত চৌধুরীর সঙ্গে। সে জানায়, দশম শ্রেণির কোনো পরীক্ষা এমনকি টেস্ট পরীক্ষাও তারা দেয়নি। লেখাপড়ার অভ্যাস না থাকায় জানা প্রশ্নের উত্তর লিখতেও কষ্ট হয়েছে। সে জানায়, আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে তার পাশের এক পরীক্ষার্থী টেনশনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ডাক্তার ডেকে সুস্থ করে বাড়তি সময় দিয়ে তার পরীক্ষা নেয়া হয়।
এছাড়া কিছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থী পবন আখতার জানায়, বেশি আনন্দ লাগছে যে, তাকে আর কেউ ‘অটোপাশ’ বলতে পারবে না। কেননা, তার বোন গত বছর এইচএসসি পাশ করেছে। তাকে সবাই ‘অটোপাশ’ বলে ছোট করছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, সারা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে মূল্যায়নের উপযোগী প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। যারা ভালো লেখাপড়া করেছে তাদের পরীক্ষা ভালো হয়েছে। একই কথা জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম।
এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে এসএসসিতে অংশ নিচ্ছে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন। দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন। পাশাপাশি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশে আটটি কেন্দ্রে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সারা দেশে এসএসসিতে ৩ হাজার ৬৭৯টি, দাখিলে ৭১০টি এবং ভোকেশনালে ৭৬০টি কেন্দ্র আছে। গত বছরের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫১টি আর কেন্দ্র ১৬৭টি বেড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এসএসসিতে বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী ছিল ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৪ জন। অংশ নেয় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৬ জন। বাকি ৩ হাজার ৫৪৮ জন অনুপস্থিত। বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডে একজন করে বহিষ্কার হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭১ জনের মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৭ জন উপস্থিত ছিল। বহিষ্কার হয়েছে ১০ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৭২৪ জন, এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। বাকি ৫ হাজার ৩৭৮ জন অনুপস্থিত ছিল। ১৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
গত এক যুগ ধরে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। করোনা সংক্রমণ কমে আসার পরে পুনর্বিন্যাস করা ‘সংক্ষিপ্ত’ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ১০০-এর পরিবর্তে ৫০ নম্বরে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। সিলেবাস ছোট হওয়ার সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তর লেখার প্রশ্ন সংখ্যা কমেছে। আগে বিজ্ঞানে ৮টি বিকল্প থেকে ৫টি লিখতে হতো। এবার লিখতে হয়েছে ৮টির মধ্যে ২টি। এই একই সুবিধা দাখিল এবং এসএসসি ভোকেশনালের শিক্ষার্থীদেরকেও দেয়া হয়েছে। আজ মানবিক এবং বিজনেস স্টাডিজের পরীক্ষা। এ দুই বিভাগে ১১টির মধ্যে উত্তর করতে হবে ৩টি। এমসিকিউয়ের ক্ষেত্রে মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজে ৩০টির মধ্যে ১৫টি করতে হবে। আর বিজ্ঞানে ২৫টির মধ্যে ১২টির উত্তর দিতে হয়েছে। বিজ্ঞানে ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক, ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ প্রশ্ন হতো। আর মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজে ব্যবহারিকবিহীন বিষয়ে ৭০ নম্বরে সিকিউ ও ৩০ নম্বরে এমসিকিউ পরীক্ষা হতো। তবে নির্ধারিত পূর্ণমানের মধ্যে শিক্ষার্থী যা পাবে সেটা শতভাগে রূপান্তর করা হবে। প্রত্যেক বিভাগে ৩টি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে এবার। বাকি বিষয়ে (আবশ্যিক) জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের প্রবণতা দেখে নম্বর দিয়ে এসএসসি ও সমমানে ফল দেওয়া হবে। অন্যান্য বছর পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হলেও এবার ৩০ দিনে শিক্ষার্থীরা ফল পেয়ে যাবে। ২৩ নভেম্বর শেষ হবে এই পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে দেড় ঘণ্টা। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি পাচ্ছে।
সিলেটে চার শিক্ষককে অব্যাহতি: সিলেট ব্যুরো ও বিশ্বনাথ প্রতিনিধি জানান, পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ হাজার ৮৭৩ জন। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ হাজার ৭২৫ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৪৮ জন। সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন কুমার পাল এ তথ্য জানান। দাখিল পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে চার শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের হলগুলোর দায়িত্বে থাকা চার শিক্ষকের হাতে স্মার্টফোন থাকায় তাদের পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ওই চার শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়।
বরিশালে দুই হল পরিদর্শক বহিষ্কার: বরিশাল ব্যুরো জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগের ১৭৮টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১ শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৬৩টি কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৪৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার তালিকায় রয়েছে। এছাড়া ভোলায় জেলায় দুজন হল পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত পরিদর্শকরা হলেন, ভোলা টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের হোসনে আরা বেগম এবং রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাবুল চন্দ্র রায়।
সোনাতলায় প্রশ্নপত্র পেতে বিলম্ব: বগুড়া ব্যুরো জানায়, সোনাতলায় সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে ফলাফল বিপর্যয়ের আশংকায় কয়েকজন পরীক্ষার্থী কান্নাকাটি করেছে। সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, বড় কক্ষে পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় প্রশ্নপত্র দিতে তিন মিনিট বিলম্ব হয়। তবে ওইসব শিক্ষার্থী ১৫ মিনিট পর খাতা জমা দিয়েছে। তাই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে লাভবান হয়েছে। এরপরও দায়িত্ব অবহেলায় দুই পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই কক্ষের শিক্ষার্থীদের দুটি কক্ষে পরীক্ষা নিতে বলা হয়।
বাগাতিপাড়ায় শিক্ষকের নির্দেশে এমসিকিউর সব উত্তর প্রদান: বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, বাগাতিপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষার ডিউটিরত শিক্ষকের নির্দেশে এমসিকিউ প্রশ্নের সব উত্তর দিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। উপজেলার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ১৪০ জন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে এনিয়ে উদ্বিগ্নতা ও হতাশা দেখা দিয়েছে। ফলাফল স্থগিত অথবা খারাপ হওয়াসহ নানা রকম শঙ্কা দেখা দিয়েছে এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে। রোববার বাগাতিপাড়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা ডিগ্রি কলেজ ভেন্যুতে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, কয়েকজন অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে ওই কর্মকর্তার প্রতিবেদনের পর তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নাল আবেদিনকে পরবর্তী পরীক্ষা থেকে আগামী ৫ বছরের জন্য সব পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ইউএনও কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রোল নম্বরসহ চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চান্দিনায় অনুপস্থিত ৭১: চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, চান্দিনায় ৭১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে চান্দিনা আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজীবপুরে এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার : রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, রাজীবপুর উপজেলার এসএসসি এক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নকলের দায়ে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজীবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কৃত ওই পরীক্ষার্থী বলনে, টুকরো সাদা পাতায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের একটি অঙ্কের মান নির্ণয় করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট স্যার টুকরো পাতাটি নকল মনে করে আমাকে বহিষ্কার করেন। ওই পরীক্ষার্থী আরও অভিযোগ করে বলেন, বহিষ্কার থেকে রক্ষা পেতে ম্যাজিস্ট্রেট স্যাররে পা ধরে অনুনয়-বিনয় করেছি। তবুও বহিষ্কার থেকে রক্ষা পাইনি। রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তী বলেন, নকলের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সচিবকে। তিনি আরও বলনে, সাদা পাতায় একটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের অঙ্কের উত্তর থাকায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দৌলতখানে ৪৫ জন অনুপস্থিত: দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, দৌলতখানে ৪৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আজহার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পীরগঞ্জে একজন বহিষ্কার: পীরগঞ্জ (রংপুরে) প্রতিনিধি জানান, পীরগঞ্জে জাফরপাড়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
গাইবান্ধায় বহিষ্কার ১: গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় মোট ১৯ হাজার ৭৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ৪০১ জন ছিল। এরমধ্যে এসএসসিতে অনুপস্থিত ১২৪ জন, দাখিলে ১৭৯ জন এবং ভোকেশনালে ২১ জন। এবারে ৪০ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১১ হাজার ৬১৭ জন, দাখিলে ১১ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ভোকেশনালে ২১ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ১৮৮ জন। এরমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার বুড়াইল হাইস্কুল কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ভোকেশনালের এক পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
সূত্র: যুগান্তর